লালনগীতি লিরিক্স । Page 3

ও যার আপন খবর আপনার হয় না


ও যার আপন খবর আপনার হয় না
একবার আপনারে চিনতে পারলে রে।
যাবে অচেনারে চেনা, যাবে অচেনারে চেনা।।
ও সাঁই নিকট থেকে দূরে দেখায়
যেমন কেঁশের আড়ে পাহাড় লুকায় দেখ না।
আমি ঘুরে এলাম সারা জগৎরে।
তবু মনের গোল তো যায় না।।
ও সে অমৃত সাগরের সূধা।
সূধা খাইলে জিবের (জিহ্বা) ক্ষুধা তৃষ্ণা রয় না।
ফকির লালন মরল জল পিপাষায়রে।
আছে থাকতে নদী মেঘনা।।

কথা কয় রে দেখা দেয় না


কে কথা কয় রে দেখা দেয় না?
নড়ে চড়ে হাতের কাছে
খুঁজলে জনমভর মেলে না।।
খুঁজি তারে আসমান জমিন
আমারে চিনি না আমি,
এ বিষম ভ্রমের ভ্রমি
আমি কোন্‌ জনসে কোন্‌ জনা।।
হাতের কাছে হয় না খবর,
কি দেখতে যাও দিল্লির শহর!
সিরাজ সাঁই কয়লালন রে তোর
সদাই মনের ঘোর গেল না।।

আল্লাহ্ কে বোঝে তোমার অপার লীলা


আল্লাহ্ কে বোঝে তোমার অপার লীলা
কে বোঝে তোমার অপার লীলে।
তুমি আপনি আল্লাহ
ডাকো আল্লাহ বলে।
নিরাকারের তরে তুমি নুরী
ছিলে ডিম্ব অবতরী।
সাকারে সৃজন গড়লে ত্রিভুবন
আকারে চমৎকার ভাব দেখালে।
নিরাকার নিগম ধ্বনি
তাও তো সত্য সবাই জানি।।
তুমি আগমের ফুল নিগমে রসুল
আদমের ধড়ে জান হইলে।
আত্ম তত্ত্ব জানে যাঁরা
শাঁইর নিগূঢ় লীলা দেখছে তাঁরা।।
নীড় নিরঞ্জন অকৈথ্য সাধন ।।
লালন খুঁজে বেড়ায় বনজঙ্গলে।

আমার হয় না রে সে মনের মত মন


আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।।
কিসে জানবো সেই রাগের কারণ
আমি জানবো কি সে রাগের কারণ
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।।
পড়ে রিপু ইন্দ্রিয় ভোলে
মন বেড়ায় রে ডালে আলে ।।
দুই মনে এক মন হইলে ।।
এড়াই শমন ।।
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।
রসিক ভক্ত যারা মনে মন মিশালো তারা ।।
শাসন করে তিনটি ধারা ।।
পেল রতন
তারা পেল রতন
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।
কবে হবে নাগিনী বস সাধবো কবে অমৃত-রস ।।
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয়, বিষে বিনাশ ।।
হলি লালন ।।
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।
কিসে জানবো সেই রাগের কারণ
ও কিসে জানবো সেই রাগের কারণ
হয় না রে সে মনের মত মন ।
আমার হয় না রে সে মনের মত মন ।

আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই


আমি ঐ চরণে
দাসের যোগ্য নই।
নিজগুনে পদারবিন্দু দেন যদি সাঁই দীনবন্ধু
তবে তরি ভবসিন্ধু নইলে না দেখি উপায়।
ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই।
আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই।
আমি ভাব জানিনে প্রেম জানিনে দাসী হতে চাই চরণে।।
ভাব দিয়ে ভাব নিলে পরে ।।
সেই সে রাঙ্গা চরণ পায়।
ওরে সেই সে রাঙ্গা চরণ পায়।।
ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই।
আমি ঐ চরণে দাসের যোগ্য নই।
অহল্যা পাষানী ছিলো
চরণ ধূলায় মানব হলো ।
লালন পথে পড়ে রইলো
ফকির লালন পথে পড়ে রইলো
যা করে সাঁই দয়াময়।
আমার যা করে সাঁই দয়াময়।

যাও হে শ্যাম রাই কুঞ্জে


এলে ভাল হবে না ও শ্যাম
যাও হে শ্যাম রাই কুঞ্জে
আর এসো না।।
গাছ কেটে জল ঢালো পাতায়
এ চাতুরি শিখলে কোথায়
উচিত শিক্ষা পাবে হেথায়
নইলে যে টের পাবে না।।
করতে চাও শ্যাম নাগরালি
যাও যেথা সেই চন্দ্রাবলী
এ পথে পড়েছে কালি
এ কালি আর যাবে না।।
কেলে সোনা জানা গেল
উপর কালো ভিতর কালো
লালন বলে উভয় ভালো
করি উভয়ের বন্দনা।।

কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা


আছেন কোথায় স্বর্গপুরে কেউ নাহি সন্ধান জানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?
আছেন কোথায় স্বর্গপুরে কেউ নাহি সন্ধান জানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?
জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে
পৃথিবী গোলাকার শুনি-অহর্নিশি ঘোরে আপনি
তাইতে হয়,তাইতে হয় দিন-রজনী,
জ্ঞানী-গুনী তাই মানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?
জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে
আরেকদিকে নিশি হলে অন্যদিকে দিবা বলে
একদিকে নিশি হলে অন্যদিকে দিবা বলে
আকাশতো দেখে সকলে,খোদা দেখে কয়জনে?
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?
জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে।
আপন ঘরে কে কথা কয় না জেনে আসমানে তাকায়
লালন বলে
লালন বলে কেবা কোথায় বুঝিবে দিব্যজ্ঞানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?
আছেন কোথায় স্বর্গপুরে কেউ নাহি সন্ধান জানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে?
জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে।





লা ল ন গী তি  লি রি ক্স                                                Page 1 । Page 2 । Page 3 । Page 4

1 টি মন্তব্য: